কোন প্রোটিন ভালো, প্রাণীজ নাকি উদ্ভিজ্জ? - Bangla Feed24

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, April 21, 2018

কোন প্রোটিন ভালো, প্রাণীজ নাকি উদ্ভিজ্জ?


দেহকে রক্ষার জন্যে যাবতীয় কাজটি সুচারুরূপে সারে প্রোটিন। এই খাদ্য উপাদানটি কেবল শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্যেই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যেও অপরিহার্য। প্রোটিন আসলে দেহের মধ্যে ভাঙতে অনেক সময় নেয়। ফলে এটা গ্রহণের পর অনেকক্ষণ সময় ধরে কোনো ক্ষুধা লাগে না। উচ্চমাত্রার প্রোটিন বিপাকক্রিয়াকে সুষ্ঠু করে। দেহকে দেয় শক্তি।
কিন্তু প্রোটিন নিয়ে একটা বিতর্ক চলছেই। প্রশ্ন হলো, কোন প্রোটিনটা ভালো? প্রাণীজ প্রোটিন নাকি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। জেনে রাখা ভালো, দুটোতেই মেলে ২২টি অ্যামাইনো এসিড। তবুও এদের গুণগত মান এবং পুষ্টিমানের সমন্বয় বিষয়ে বিতর্ক আছে। আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বুঝতে হবে কোন প্রোটিনে কোনো সমস্যা নেই। এগুলো বুঝতে কোনো বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে পারেন। এখানে দুই উৎসের প্রোটিন নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো।
প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড 
দেহের বর্ধন এবং বিকাশের জন্যে এসেনশিয়াল অ্যামাইনো এসডিগুলো দরকার। প্রাণীজ প্রোটিনে তার সবগুলো বেশ ভালো মতোই থাকে। তবে উচ্চমাত্রার প্রোটিন রয়েছে যেসব উদ্ভিদে, যেমন শীম বা বাদাম বা কালাই জাতীয় খাবারে এসব অ্যামাইনো এসিডের দুই-একটি পাওয়া যায় না। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে সবগুলো অ্যামাইনো এসডি কিছু না কিছু হলেও থাকে।
পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি 
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণীজ প্রোটিনে আসলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অপেক্ষা বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই বলে যে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনকে খাটো করে দেখবেন তা নয়। অনেকের জন্যে প্রাণীজ প্রোটিন ক্ষতিকর হতে পারে। দুধ, মাছ এবং মাংসে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন বি১২ থাকে। ভালো পরিমাণ ভিটামিন ডি মেলে দুগ্ধজাত খাবার, মাছঝ এবং ডিমে। আবার কেবল তেলপূর্ণ মাছে এসেনশিয়াল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে।
ফ্যাট 
প্রাণীজ প্রোটিনে প্রচুর চর্বি থাকে। ফলে বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ে। প্রাণীজ প্রোটিনে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
ফাইবার 
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে প্রচুর পরিমাণে ভক্ষণযোহ্য ফাইবার থাকে। ফলে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলপূর্ণ দেহের জন্যে খুবই ভালো।
উদ্ভিদ নাকি প্রাণী? 
পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তির ওজনের প্রতিকেজির জন্যে প্রতিদিন ০.৮ গ্রাম থেকে এক গ্রামের মতো প্রোটিন দরকার। কাজেই প্রতিদিন তার ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া জরুরি। আসলে উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণীজ উভয় উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করা দরকার। এতে সহজেই চাহিদা মিটে যায়। প্রতিদিন ডাল, বাদাম জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবেন। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আসলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসস এবং স্থূলতার কারণ হয় না। তাই বেশি বেশি নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad